ইরান সমর্থিত ইরাকের সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর কয়েকশ সদস্য সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে প্রবেশ করেছে এবং দুর্বল সিরীয় সেনাদের সহায়তায় এগিয়ে যাচ্ছে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বদর এবং নুজাবা গোষ্ঠীর প্রায় ৩০০ যোদ্ধা সীমান্ত ক্রসিং এড়িয়ে সড়কপথে সিরিয়ায় প্রবেশ করেছে।
তেহরান ইতোমধ্যে সিরিয়ার আসাদ সরকারকে সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এদিকে লেবাননের হিজবুল্লাহ এখনো আলেপ্পোর সংঘাতে সরাসরি অংশগ্রহণ করছে না এবং তাদের কাছে যুদ্ধে অংশ নিতে কোনো আহ্বানও আসেনি।
এদিকে, সিরিয়ার সামরিক বাহিনী বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর প্রতিরোধে আলেপ্পো এবং আশপাশের দখলকৃত শহরগুলোতে বিমান হামলা চালিয়েছে। গেল এক সপ্তাহে চলমান সংঘর্ষে সামরিক ও বেসামরিকসহ পাঁচ শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।
আসাদ সরকারের সমর্থনে রাশিয়া এবং ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর সক্রিয়তা পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এ সংঘাতের নিন্দা জানিয়েছেন এবং আলোচনা মাধ্যমে সমাধানের আহ্বান জানিয়ে সতর্ক করেছেন, এভাবে চলতে থাকলে ১৩ বছর ধরে চলমান গৃহযুদ্ধ আরও ঘনীভূত হতে পারে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানও টুইটবার্তায় শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন।